জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ •
দেশের সর্ব দক্ষিণে স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন বঙ্গোপসাগরের মাঝে আছে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। ওই দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন ৭কিঃ মিঃ অদূরে রয়েছে আরেকটি দ্বীপ। তাঁর নাম ছেঁড়াদ্বীপ। সাগরের বুক চিরে নীল জলরাশি পেরিয়ে ওই দ্বীপে যেতে হয়। যারা সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যান। তাঁদের বেশীর ভাগই এখন ছেঁড়াদ্বীপে ঘুরে আসেন। দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগে পর্যটকদের আকর্ষণ এখন ছোট্ট ছেঁড়া দ্বীপের দিকে।
দ্বীপে রয়েছে বক,গাংচিলসহ হরেক রকম পাখির বাস। দ্বীপে আছে পাথর আর পাথর, শৈবাল, প্রবাল, জীবন্ত কোরাল,রং-বেরংয়ের মাছ। মানুষের বসতি না থাকলেও স্বচ্ছ জলরাশির মাঝে শৈবাল, প্রবাল, জীবন্ত কোরাল এবং নানান রকমের মাছ কেবল খালি চোখে দেখা যায়। স্রষ্টার অপরূপ সৃষ্টি এই ছেঁড়াদ্বীপে না গেলে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য অনুধাবন করা সত্যি কঠিন। সৌন্দর্য্য অবলোকনে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক নীল জলরাশি পেরিয়ে ছেঁড়াদ্বীপের দিকে ছুঁটছে। সকাল এবং সন্ধ্যাকালীন সৌন্দর্য্য আরো মনোরম। যা দেখার মত। কিন্তু ওই সময়ে দ্বীপে পর্যটকরা যান না। এদিকে দ্বীপে পর্যটকদের জন্য কোন ধরণের চেঞ্জিং রোম এবং বাথরোম নেই। ট্যুরিষ্ট পুলিশ এবং বীচ কর্মী না থাকায় পর্যটকরা সকাল এবং সন্ধ্যাকালীন সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারছেন না বলে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জানাগেছে,সেন্ট মার্টিন জেটিঘাট থেকে স্পীড বোট এবং লাইফ বোটে (গাম বোট) করে সহজে ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়া যায়। স্পীড বোটে মাত্র ৮/১০ মিনিটেই প্রতিজন ৩শ টাকা আর গাম বোটে ২৫/৩০ মিনিটে জনপ্রতি ২শ টাকায় যেতে হয়। সেন্ট মার্টিন জেটিতে রয়েছে স্পীড বোট আর লাইফ বোট। এসব বোটের মাঝিরা পর্যটকদের ছেঁড়াদ্বীপে ঘুরিয়েই নিয়ে আসেন।
ময়মনসিংহ জেলা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক জায়েদ জানান, ছেঁড়াদ্বীপে না আসলে মনে হয় যেন এটি একটি রুপকথার গল্প। ছেঁড়াদ্বীপ সত্যি অনেক অনেকে সুন্দর। খালি চোখে জ্বীবন্ত কোরাল, শৈবাল এবং প্রবাল দেখলেই মন ভরে যায়। ছেঁড়াদ্বীপে আসা পর্যটক আসাদ এবং এইচএন আমান জানান,ছোট্ট দ্বীপটি সত্যিই অপূর্ব সুন্দর। মনে হয় সৌন্দর্যের রাণী। দ্বীপের চতুর্দিকের স্বচ্ছ জল রাশির ভেতরকার রং বেরংয়ের মাছ,শৈবাল-প্রবাল এবং পাথর দেখলে মনে জুড়ে যায়।
সেন্ট মার্টিন ইউপির মেম্বার হাবিব রহমান খাঁন জানান,প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ছেঁড়াদ্বীপে আসছে। দ্বীপে বাথ রোম এবং চেঞ্জিং রোম না থাকায় পর্যটকদের বড় বেশী সমস্যা হচ্ছে। তিনি পর্যটকদের সুবিধার্থে ছেড়াদ্বীপে বাথ রোম এবং চেঞ্জিং রোম নির্মাণের দাবী জানান। দ্বীপের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান,পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ছেঁড়াদ্বীপে ট্যুরিষ্ট পুলিশ,বীচ কর্মী নিয়োগের দাবী জানান।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পর্যটকদের সুবিধার্থে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-